কুয়েতে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের ৬০ টি দলের সমন্বয়ে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করে বিদেশি খেলোয়াড়দের কাছে প্রশংসিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশী ক্রিকেট প্রেমীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্রিকেট এসোশিয়েশন এর আয়োজনে শেষ হলো চ্যাম্পিয়নস লিগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ২৮ টি দল সহ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের মোট ৬০ টি দল অংশ গ্রহন করে। পাঁচ ভাগে বিভক্ত এই খেলা প্রায় আট মাস ধরে চলে আসছিলো। গতকাল সাতই অক্টোবর শুক্রবার কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন আব্বাসিয়া ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে এসব খেলার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্দেগে এমন বড় খেলার আয়োজন দেখে বিস্মিত অন্যদেশের প্রবাসী খেলোয়াড়রা। ভারতের একটি দলের ক্যাপটেন বলেন ১৫ বছর থেকে সে কুয়েতে ক্রিকেট খেলে কিন্তু এত বড় আয়োজন পূর্বে দেখেননি। প্রবাসী বাংলাদেশীদের এমন আয়োজনের প্রসংশা করেন এবং আগামীতেও এমন টুর্নামেন্টের আয়োজন করার আহবান জানান। এমন বড় একটি খেলার আয়োজন করে যেমনি বিদেশিদের কাছে প্রসংশিত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট এসোশিয়েশন তেমনি প্রবাসীদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন । ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশীদের তৈরী ১০টি মাঠ, তিনটি মাঠে চলে খেলা আর মাঠ ঘিরে দর্শকদের কমতি ছিলো না। প্রবাসী সংগঠকরা উপস্থিত হয়ে খেলোয়াড়দের মাঝে উৎসাহ দেন। আগামীতেও এমন আয়োজন আশা করেন। সফল ভাবে খেলা পরিচালনা করে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের কাছে প্রসংশিত হয়ে আনন্দিত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ফাইনালে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দল দুইটি খেলায় জয়ী হয় । এছাড়া ভারত একটি, পাকিস্তান একটি ও কুয়েতের জাতীয় দল একটি খেলায় জয়ী হয়। বিভিন্ন দেশের সাথে খেলে জয়ী হতে পেরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দল অনেক আনন্দিত। বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি জাহাঙ্গির হোসেন পাটোয়ারী বলেন আমরা হেরে যাই কিন্তু ভাল খেলে হারতে চাই। আমরা জাতী হিসেবে অনেক দুর এগিয়েছি আমরা সবার সাথে হারতে চাই না। খেলোয়ারদের সর্বাত্বক সহযোগিতার করার কথা জানান । কুয়েতে ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশ যেমন এগিয়ে আছে তেমনি ক্রিকেট আয়োজক হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে আছে। কুয়েতে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করে পূর্বেও প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রসংশিত হয়েছেন। বাংলাদেশীরা সুযোগ পেলে কিছু করতে পারে দেখাতে পারে এটা আবারও প্রমান করলো। সরকারী সহযোগিতা এবং বড় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কুয়েতের মাটিতে বাংলাদেশ ইতিহাস গড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিস্টরা।
Discussion about this post