প্রতি বছর একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হচ্ছে কুয়েত প্রবাসী লেখকদের কবিতা উপন্যাসের বই। কর্মের ফাঁকে বিদেশে বাংলা সাহিত্য চর্চা করে বাংলা ভাষাকে প্রবাসেও বাঁচিয়ে রাখছেন প্রবাসী লেখকরা। ভাষা যেকোনো জাতির আত্মপরিচয়, আত্মমর্যাদা এবং ভাষার মাধ্যমেই ঐ জাতিগুলো তারা তাদের জাতিসত্তার সন্ধান খোঁজে পায়। যে জাতির নিজ ভাষার কোনো অস্তিত্ব থাকে না সেই জাতির জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ঐতিহ্যমণ্ডিত হয় না। বাংলা ভাষা ও স্বাধীনতা এই দুটিই বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এই দুটির যেকোনো একটি দুর্বল হলে বাঙালি জাতি ভারসাম্যহীন জাতিতে পরিণত হবে। এই ভাষাকে রক্ষার্থে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য বাঙ্গালীরা দেশ এবং বিদেশে চর্চার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছে। বাংলা ভাষা এবং বাংলা সাহিত্যের কতটুকু চর্চা হয় এর একটি চিত্র ফুটে উঠে প্রতি বছর বই মেলায়। এই মেলাকে ঘিরের নতুন নতুন বই প্রকাশিত হয় অন্যদিকে নতুন লেখকদের আবির্ভাবও কম হয় না।
বইমেলাকে টার্গেট করে বছরব্যাপী সাহিত্য চর্চা চালিয়ে যাওয়া প্রবাসী লেখকের সংখ্যাও কম না। রুজি রুটির তাগিদে বিদেশে পাড়ি দেওয়া অনেক প্রবাসী কর্মের পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা করে ছাত্রজীবনে লেখক হওয়ার সেই কাঙ্খিত স্বপ্ন পুরণে সফল হয়েছেন। কুয়েতে নব্বইয়ের দশক থেকে সাহিত্য চর্চা করে আসছে কুয়েত প্রবাসীরা। কখনো একক ভাবে কখনো সাংগঠনিক ভাবে। বাংলাদেশ সাহিত্য পরিষদ, বাংলাদেশ লেখক ফোরাম, কবিতা পরিষদ, সাহিত্য অঙ্গন বিভিন্ন নামে অসংখ্য প্রবাসী লেখক তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনো হোটেলে কখনো বা কোন হলে আড্ডায় সাহিত্য চর্চা করে প্রবাসীরা। ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত কোন না কোন কুয়েত প্রবাসী লেখকের বই একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়ে আসছে।
বিদেশে প্রবাসী লেখকদের সাহিত্য চর্চা বিদেশের মাটিতে বাংলার অস্তিত্ব টিকে রাখতে যেমন ভূমিকা রাখে। তাদের দেখে নতুন প্রজন্মসহ অন্যান্যরা অণুপ্রাণিত হবে বাংলা সাহিত্যের প্রতি এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
Discussion about this post