কুয়েতে বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট গুলোতে ইফতারে পাওয়া যাচ্ছে দেশ বিদেশী নানা মুখরোচক খাবার, বিগত বছরের মত এখনো জমে উঠেনি ইফতার বাজার।
বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ফজিলত পূর্ণ মাস মাহে রমজান। দিনভর রোজা রেখে ইফতারে সময় রোজাদাররা পছন্দের খাবারটি ইফতারের সময় খেতে চায়। নানা জাতি গোষ্ঠীর নানা ধরনের সংস্কৃতির মতো খাবারও বিভিন্ন দেশের মানুষের খাদ্য তালিকায় মিশে গেছে। কুয়েতেও এর ব্যতীক্রম নয়। কুয়েত সিটি, হাসাবিয়া জিলিব, ফাহাহিল, মাহবুল্লাহ, খাইতান, ফরওয়ানিয়া সহ বাংলাদেশী অধ্যুষিত অঞ্চলের বাংলাদেশী মালিকানাধিন রেস্টুরেন্ট গুলোতে এক সময় চকবাজারের মত হাক ঢেকে ইফতার বিক্রি করতে দেখা যেত। বর্তমানে তেমনটা দেখা যায় না কুয়েত সিটির বাংলাদেশী মালিকানাধিন রেস্টুরেন্ট গুলোতে। তবে রোজাদাররা পছন্দের খাবারটি তৈরী করতে পিছুপা হয় না রেস্টুরেন্ট গুলো। খেজুর মুখে দিয়ে রোজা খোলার সাথে ঠান্ডা শরবত থেকে শুরু করে জিলাপি, পেঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা, মুড়ি, চপ, হালিম, বিরিয়ানি, গুড়ের শরবত,বিভিন্ন ফল ও ফলের রস, বিভিন্ন রঙ মিশ্রিত বাহারি শরবত সহ নানা মুখরোচক খাবার পাওয়া যায় হোটেল গুলোতে। অনেক হোটেলে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী চক বাজারের শামি কাবাব, সুতি কাবাব, শাহি জিলাপির, তেহারি ও ভুনা খিচুড়ি খাবারের লিস্টে রাখেন। শুক্রবার সহ ছুটির দিন গুলোতে কিছুটা ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও অন্য দিন গুলোতে তেমনটা ক্রেতা নেই বললে জানান ব্যবসায়ীরা। কোন রকম চলছে বেচা কেনা বলে জানান তারা। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রবাসীরা কয়েক জন মিলে এক সাথে ইফতার আয়োজন করে। আবার অনেকে দেশীয় স্বাদে ইফতার করতে বাংলাদেশী মালিকানাধিন রেস্টুরেন্ট গুলোতে ছুটে বেড়ায় । করোনা মহামারীর আগে কুয়েতে ইফতারের সময় বাংলাদেশী মালিকানাধিন বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গুলোতে ইফতার বিক্রি করার দৃশ্য বাংলাদেশের চক বাজারের কথা মনে করিয়ে দিত। এমন দৃশ্য আবারও কুয়েতে বাংলাদেশী মালিকানাধিন বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গুলোতে ফিরে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
Discussion about this post