কুয়েত প্রতিনিধিঃ ই-পাসপোর্টের সুফল পেতে শুরু করেছে কুয়েত প্রবাসীরা। কাঙ্খিত সময়ের পূর্বেই পাসপোর্ট হাতে পেয়ে আনন্দিত প্রবাসীরা
অবশেষে পাসপোর্ট নিয়ে কুয়েত প্রবাসীদের ভোগান্তির অবসান হতে শুরু করেছে।
ই-পাসপোর্টের আবেদন জমা দেওয়ার এক মাসের আগেই হাতে পাচ্ছেন কাঙ্খিত পাসপোর্টটি ,এতে করে আনন্দিত কুয়েত প্রবাসীরা। বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধমে খুব সহজেই এই সেবা পাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার সহ দুতাবাস কে ধন্যবাদ জানান।
কুয়েত প্রবাসীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত এই পাসপোর্ট সেবা দিতে চলতি বছরের ২২ মার্চ বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করা হলেও সকল প্রস্তুতি শেষে ১৪ মে থেকে আবেদন শুর হয়। আবেদন জমা দেওয়ার এক মাসের পূর্বেই ই-পাসপোর্ট হাতে পাচ্ছেন কুয়তে প্রবাসীরা । এতে করে কুয়েত প্রবাসীদের আকামা জনিত সমস্যার সমাধান হলো । প্রবাসীদের আর দশ বছর পাসপোর্ট নিয়ে সমস্যায় পরতে হবে না।
কুয়েতের আইন অনুযায়ী ভিসা রিনিউ করতে হলে পাসপোর্টের মেয়াদ ২ বছর থাকা বাধ্যতামুলক,ফলে অনেক প্রবাসী পাসপোর্টের মেয়াদ স্বল্পতার কারণে আকাম রিনিউ করতে ব্যর্থ হতো।এতে করে আকামা আইন লঙ্গনের দায়ে প্রতিদিন ২ দিনার করে জরিমানা দিতে হতো।কুয়েতে ২০১৬ সালের নতুন আইন অনুযায়ী পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলেও দিতে হতো জরিমানা যা প্রতিদিন ২ দিনার করে। এই সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে নেওয়া হয়েছিলো হাতে লেখে পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোও যা ছিলো সময় সাপেক্ষ্য ও পাশাপাশি খরচ হতো অতিরিক্ত অর্থ ।ই-পাসপোর্টে পেয়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেলো কুয়েত প্রবাসীরা ।
এমআরপি পাসপোর্ট পেতে যেখানে সময় লাগে তিন মাস সেইখানে ই-পাসপোর্ট পেয়ে যাচ্ছে মাত্র ২১ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এতে করে এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্টে আগ্রহী প্রবাসীরা । তবে যাদের জন্ম নিবন্দন , এনআইডি বা দুইটার কোনটা ই নাই তাদের দাবী প্রবাসীদের কে যেনো বর্তমান পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ই-পাসপোর্ট দেওয়া হয় ।
ই-পাসপোর্টের বানাতে কুয়েতে আকামার ক্যাটাগরি ভিত্তিতে সাধারণ শ্রমিক ও ড্রাইবার পেশার জন্য আলাদা আলাদা ফি নেওয়া হচ্ছে । এই দুই পেশার ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্টের সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ ডলার যা কুয়েতি ( ১৫ দিনার ৫০০ পয়সা ) নির্ধারণ করার জোর দাবী করেন কুয়েত প্রবাসীরা । বর্তমানে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি চালু এমআরপি পাসপোর্ট এর সেবাও চালু রয়েছে।
Discussion about this post