কুয়েতে এক সময় প্রবাসীরা ব্যবসা করতো স্থানীয় নাগরিকদের থেকে লাইসেন্স অথবা দোকান ভাড়া নিয়ে। কালের বিবর্তনে পাল্টেছে চিত্র, বর্তমানে দেশটিতে অসংখ্য বাংলাদেশী ব্যবসায়ী স্থানীয় নাগরিকদের সাথে পার্টনারে ব্যবসা করছেন। আছে নিজের নামে লাইসেন্সও। এতে অনেকেই সফলতা অর্জন করেছেন। আবার অনেকে সিটকে পড়েছেন। বিশ্বের অনত্যম ধনী দেশ কুয়েত, দেশটির বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা মেটাতে অধিকাংই নির্ভর করতে হয় অন্যদেশের উপর। বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানী সহ বিভিন্ন ব্যবসায় অন্যদের পাশাপাশি এগিয়ে আছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। তাদের অনেকে বাংলাদেশ সহ চীন, ফিলিপাইন, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা সহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানান ধরনের পণ্য আমদানী করে থাকেন। আবার তাদের অনেকে স্থানীয় মার্কেটেও গড়ে তুলেছেন নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাদের সবাই এককভাবে অথবা কয়েকজন বন্ধু মিলে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন। কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের ঐকবদ্ধ করতে দূতাবাসের পৃষ্টপোষকতায় ২০১৬ সালে বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল, কুয়েত নামে একটি ব্যবসায়ী সংগঠন গঠন করা হয়েছিল। তবে সংগঠনটির কোন কার্যকারিতা প্রতিয়মান না থাকায় এক অনুষ্ঠানে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান সংগঠনটি প্রকৃত ব্যাবসাীদের সম্পৃক্ত করে ঢেলে সাঝানোর কথা বলেন । কুয়েতে ব্যবসার অনেক সুযোগ রয়েছে। তবে লাইসেন্স সহ আইনগত অনেক ঝামেলার কারণে বিগত দিনে তেমন সাংগঠনকিভাবে সুবিদা করতে পারেন নি, এবার ভাল কিছু দেশ কে উপহার দিতে পারবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল, কুয়েত এর সভাপতি লুতফর রহমান মোকাই আলী। এখানে অনেকেই দোকান পাট, সুপার মার্কেট, রেষ্টুরেন্ট, মোবাইল সহ বিভিন্ন ব্যবসায় বেশ সফলতা অর্জন করেছেন। বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কুয়েতের বাজারে বিফলতার চেয়ে সফলতার মাত্রা আরো বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল, কুয়েত কমিটি পুনর্গঠনকল্পে নতুন সদস্য হতে আগ্রহী ব্যাবসায়ীরা যোগযোগ করার অনুরোধ করা হচ্ছে: 66800227, 95565585, 97728286
Discussion about this post