বাংলার বার্তাঃ একদিকে ভিন দেশের ভাষা অন্যদিকে কোন কর্মের অভিজ্ঞতা ছাড়াই সোনার হরিণের খোঁজে বিদেশে পারি জমিয়েছে অনেকে।
সল্প বেতনে কাজ করে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আজ তাদের অনেকে কুয়েতে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কুয়েতে গরু, ছাগল, উট, দোম্বা, হাঁস মুরগির খাবারের চাহিদা মেটাতে ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া, ইরান, ইরাক ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পশু পাখির খাবার আমদানি করে কুয়েতে প্রতিষ্ঠিত অনেক বাংলাদেশী। পশু পাখির খাবার কুয়েতের ওফরা, চেবদি, আবদালীর বাজারে বিক্রি করে কোটিপতি বনেছেন অনেকেই। নিজেদের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে বিশ্বস্ত হিসেবে অসহায় পারা প্রতিবেশীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন অনেকে।প্রতিষ্ঠিত এসব ব্যবসায়ীদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন করে বিভিন্ন ব্যবসায় ঝুঁকছেন অনেকেই।
এমনই একজন আবুল বাসার আজাদ কুয়েতের ওফরা অঞ্চলে পশু পাখির খাবারের ব্যবসা করেন দীর্ঘদিন থেকে। তিনি বলেন মাত্র ৬০ কুয়েতি দিনার দিয়ে শুরু করেছিলেন তার ব্যবসা। বন্ধুবান্ধবের সহযোগিতায় ব্যবসার পরিধি এমনটাই বেড়েছে কুয়েতের বাজারেই শত মিলিয়ন টাকার উপরে ব্যবসায় ইনভেষ্ট আছে তার। তিনি আরো জানান তার ব্যবসায় কর্মসংস্থান যোগিয়ে বিনা পয়সায় বাংলাদেশ থেকে ১৫ থেকে বিশ জন পারা প্রতিবেশীদের নিয়ে এসেছেন। তিনি চাইলে এই ভিসা গুলো প্রত্যেকটি ১০ লাখ টাকার উপরে বিক্রি করতে পারতেন। এই সম্পর্কে তিনি আরো বলেন সঠিক ব্যবসায়ীরা ভিসা বিক্রি নয় নিজ ব্যবসার পরিধি বাড়াতে দক্ষ জনশক্তি বাংলাদেশ থেকে বিনা পয়সায় নেওয়া প্রয়োজন। অক্লান্ত পরিশ্রম করে এক সময় প্রতিষ্ঠা করেন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মানুষদেরকে বিদেশের মাটিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন বাসার। এছাড়াও যারা আর্থিক সমস্যার কারণে বিদেশে যেতে না পারা মানুষদেরকে নিজ খরচে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছেন এই কৃতি সন্তান। তার সহপাটিরা জানায়, বিদেশের কর্মসংস্থান করে দেওয়ার পাশাপাশি সদা সর্বদা থেকেছেন নিজ গ্রামের অসুস্থ মানুষদের পাশে। আর্থিক সহায়তা, চলাচল করার জন্য রাস্তার উন্নয়নের কাজে সহোযোগিতা, মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণেও পাশে থেকেছেন । এলাকার যুবসমাজকে মাদকমুক্ত ও স্বাস্থ্য সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে খেলাধুলার জন্য কাজ করেছেন। আয়োজন ও ব্যবস্থা করেছেন বিভিন্ন খেলাধুলার।তার ওখানেই কর্মরত একজন কর্মী বলেন দেশে মানবেতর জীবন যাপন করতেন ।
বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত খামারে কোন রকমে দিন যাপিত করতেন। আবুল বাসার বিনা খরচে তাকে কুয়েতে এনে কর্মসংস্থান করে দিয়েছে। বর্তমানে মাসে ৬০ হাজার টাকার উপরে বেতন পায়। সাথে থাকা খাওয়া সম্পূর্ন ফ্রি। কথা হয় ওফরা অঞ্চলের কাসেম, আশিক, পরশো সহ অনেকরে সাথে যারা তার এখানে কাজ করেএসব কাজে অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিজেরাই এখন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তারা জানান সব সময় তাদের বুদ্ধি পরামর্শ , আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে প্রতিনিয়ত তৈরি করছেন নতুন ব্যবসায়ী। নতুন এসব তরুন ব্যবসায়ীদের প্রশংসা বলে দেয় ওফরা অঞ্চলে ব্যবসার সফলতা কতটুকু পৌছেছে আবুল বাসার আজাদের। জানা যায় আর্তমানবতার সেবায় দেশেও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজে সহযোগিতা করে দানবীর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত করে জন প্রতিনিধি হিসেবে জন সেবায় কাজ করার আশা প্রকাশ করেন।পশু পাখির খাবার হিসেবে বাংলাদেশে ফেলে দেওয়া খড় কুটা কুয়েতে বাজারজাত করণের উদ্যোগ নিলে অকল্পনীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করেন এই খাতের সাথে জড়িতরা।
Discussion about this post